নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লার এনায়েত নগর হরিহর পাড়া এলাকায় যৌতুকের দাবীতে দুই সন্তানের জননী সোবাহানা সেফা রাফি (২৮) কে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে পাষন্ড স্বামী রাহাদ খান। এ ব্যাপারে রাফি বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় রাহাদ ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-৩৮(৫)১৯। এই মামলায় শ^শুর জাহাঙ্গির হোসেন (৫৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ মামলা সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন ভূইগড় উত্তরপাড়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সোবাহানা সেফা রাফি(২৮)। গত ৮বছর আগে ইসলামের শরীয়ত মোতাবেক রাফি রাহাদ হোসেন খান (৩০) কে বিবাহ করেছে। সে ফতুল্লার এনায়েতনগর হরিহরপাড়া এলাকার মো. জাহাঙ্গির হোসেন খানের ছেলে। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। বড় মেয়ে রাইসা (৫)ছোট্ট মেয়ে রামিজা (২)। তারা শুরুতে সুখী পরিবার হলেও রাহাদ খান তার মা বাবার ইন্ধনে স্ত্রী রাফিকে নিয়মিত যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে আসছে। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার শালিস বৈঠক হলেও তাদের নির্যাতনের মাত্রা কমেনি। তারা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে। ফলে রাফি নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে মামলা করলে এই মামলায় জামিনে বের হয়ে তারা মিমাংসায় আসে। মিমাংসা শেষ হবার পরেই আবার সেই পূর্বের ন্যায় নির্যাতন করে আসছে। রাহাদ খান তার বাবা মায়ের ইন্ধনে দুই কন্যাকে রাফির কাছ থেকে নিয়ে আসে হরিহরপাড়া তাদের বাসায়। গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে এই সন্তানদের মা রাফি দেখতে গেলে যৌতুকের জন্য মারপিট করে স্বামী রাহাদ ও তার মা নূরজাহান বেগম (৫০) শ^শুর জাহাঙ্গির হোসেন গংরা। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসলাম হোসেন ঐ রাহাদ ও তার বাবা মায়ের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। রাফির কোলের সন্তানকেও আটক করে রেখেছে পাষন্ড স্বামী রাহাদ। মায়ের সাথে সন্তানদের দেখা করতে দেয়না। সব কিছু শুনে ওসি তদন্ত করে রাহাদের বাবা কে গ্রেপ্তার করেন। এই ঘটনায় ওসি আসলাম হোসেন প্রমাণ করলেন পুলিশ জনগনের বন্ধু । ওসি থামিয়ে দিলেন রাফির কান্না । ও.সি‘র টেবিল পযর্ন্ত যে যেতে পারবে ঠিক সঠিক সেবা পাবে এমনটাই বলছেন সাধারন জনগন। তিনি নিরীহ সাধারন মানুষের বন্ধু তা বললেন বাদী রাফি ও তার পরিবার। বিনা টাকায় তার মামলা নিয়েছে এবং দারোগা মঈনুল ইসলাম বিবাদী পক্ষ করলেও ব্যর্থ হয় ওসি আসলাম হোসেনের সঠিক তদন্তের কাছে, এমনটাই জানালেন বাদী সোবাহানা সেফা রাফি ।